Thursday, June 2, 2016

জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী বনাম আমার জাতভাই এক সাংবাদিক!

একদিকে পরীক্ষা, মধ্যে নির্বাচন, অপরদিকে বাল্য বন্ধু মোশাররফের বিয়ে। এর মধ্যে মরার উপর খাড়ার ঘা হিসেবে ৪ দিন ধরে স্বর্দি জ্বর। গত মঙ্গলবার বেলা এগারোটায় বিছানা ছেড়ে গোসল করে ভেবেছিলাম, জ্বর থেকে মুক্তি পেয়েছি, রাতে আবার জ্বরে সারারাত ঘুম নেই। সকালে এক ঘন্টার ঘুম। গতকাল থেকে মনে হচ্ছে, জ্বর থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছি। এই গত কয়েকদিনে ফেসবুকে কয়েকটি বাক্য লিখব লিখব করছি, কিন্তু জ্বরের কাছে হার মেনে আর লিখা হয়ে উঠেনি। কিন্তু, আজ আর না লিখে পারছি না। বিষয়ঃ জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থী বনাম আমার জাতভাই এক সাংবাদিক।
জাতভাইয়ের প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীরা কিছুই জানেন না। ভাই, ওই সাধারণ প্রশ্নগুলো করতেও আপনাকে নোটের উপর নির্ভর করতে হয়েছে। তাই আপনার জ্ঞানের পরিধিও কিছুটা প্রশ্নবিদ্ধ। ভাই, এ কয়েকজন ছাত্র কি সারাদেশের জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব করে? শিক্ষার হারের তুলনায় মান বাড়েনি একথা বলা যায়, বর্তমানে জিপিএ ৪ মানের কোন কোন শিক্ষার্থী ৫ পেতে পারে,  কিন্তু, ১ মানের শিক্ষার্থী পারেনা। প্রতিবেদনের শুরুতেই জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের যে উল্লাস দেখিয়েছেন, প্রশ্ন করার জন্য তাদের কাউকে কি খুঁজে পাননি? না, মনে ভয় ছিল! তারা না আবার উল্টো প্রশ্ন করে বসে do you know the ethics of journalism? আর শিশু আইন এবং সাংবাদিকতার নীতিমালা বিষয়টি ভালভাবে জানলে হয়তো ওই শিক্ষার্থীদের হেয় করে এ ধরণের মনগড়া প্রতিবেদন করতেন না। পরিশেষে বলবো, ওইসব শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে মাফ চেয়ে সাংঘাতিকতা পরিহার করে সাংবাদিক হোন।
লেখকঃ জিয়া উদ্দিন দুলাল,
বার্তা সম্পাদক, দৈনিক স্বদেশ বার্তা।

0 comments:

Post a Comment