বাংলাদেশের শিক্ষানীতি কি হবে তা ঠিক হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধ আর এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময়। পাকিস্তান আমলের কুখ্যাত হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা ছাত্র আন্দোলন দেশের ছাত্র জনতাকে শেষ পর্যন্ত স্বাধীন দেশের স্বপ্ন দেখিয়ে মুক্তিযুদ্ধে নিয়ে গেছে। স্বাধীনতার পর বিজ্ঞানী ড: কুদরতে খুদা'র নেতৃত্বে গঠিত শিক্ষা কমিশনের রিপোর্টে মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন ধর্ম নিরপেক্ষ বিজ্ঞান মনষক সমাজ তৈরির শিক্ষা ব্যবস্থা চালুর স্বপ্ন প্রাধান্য পায়। বাংলাদেশের মক্তব-মাদ্রাসা ভিত্তিক মোল্লা মৌলভীরা, ধর্ম ব্যবসায়ী রাজনীতিকরা শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিক, বিজ্ঞান মনষক, ধর্ম নিরপেক্ষ করার বিরোধী। মানুষ বেশি জানলে শিখলে তাদের ধর্ম ব্যবসার ঝুঁকি অনেক। শুধু জামায়াত শিবির না, শরষিনার পীর, চর মোনাইর পীর, সিলেট এলাকার ফুলতলীর পীর জাতীয় এই লোকগুলোর বেশিরভাগ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ছিল। মুক্তিযুদ্ধের পর তাদের বেশিরভাগ পলাইয়া ছিল অথবা জেলে ছিল বলে তারা তখন কুদরতে খুদা শিক্ষা কমিশনের রিপোর্টের বিরোধিতা করতে পারেনি।
জাতির জনক বংগবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর বাংলাদেশকে আবার মুক্তিযুদ্ধের পথ থেকে সরিয়ে পুরনো পাকিস্তানি ধারায় নিয়ে যাওয়া হয়। জিয়াউর রহমান এসব স্বাধীনতা বিরোধীদের জেল থেকে বের করে আবার মাঠে নামা, রাজনৈতিক পুনর্বাসনের সুযোগ করে দেয়। গোল্লায় যায় মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নের শিক্ষা ব্যবস্থা। স্বৈরশাসক এরশাদ ক্ষমতায় এসে গঠন করেন মজিদ খানের নেতৃত্বে শিক্ষা নীতি প্রনয়নের কাজ! সেটির পাকিস্তানি চিন্তা টের পেয়ে রুখে দাঁড়ায় ছাত্র জনতা। সেই আন্দোলনে এরশাদ ক্ষমতা থেকে বিতাড়িতও হয়।
কিন্তু খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে চালু রাখেন তার সব প্রিয় পাকিস্তানি ধারা! মাঝে উনিশশো ছিয়াশি সালে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় এলেও শিক্ষা নীতি বদলের কাজটি এগোয়নি।
এবার নতুন একটি শিক্ষা নীতির কাজ শুরু হলেও এর বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে জামায়াত শিবির সহ সেই সব মোল্লা শক্তি যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ছিল। এদের পিছনের ছাতাটির নাম বিএনপি-জাতীয় পার্টি! এই স্বাধীনতা বিরোধী মোল্লা অপশক্তিটি কখনো বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতও গায় না! কারন তাদের কাছে এটিও একজন হিন্দু কবির লেখা গান! মুখে এরা এখনো এটি বদলের সাহস করতে পারেনা। এরা কখনো পহেলা বৈশাখ উদযাপন করেনা, একুশের প্রভাত ফেরীতে যায়না। বাঙালি মায়ের জন্ম নিলেও বাংলায় কথা বললেও চিন্তায় মননে এরা পাকিস্তানি। এরা তাদের ছাত্র ছাত্রীদের উর্দুতে পড়ায়!
অথচ মুক্তিযুদ্ধের এ দেশ আমাদের দীর্ঘ ঐতিহ্যের হিন্দু-মুসলিম-ব ৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবাইকে নিয়ে চলার শপথের স্বপ্নের দেশ। এদেশের সমাজ যুগ যুগ ধরে ছিল উদার ধর্ম নিরপেক্ষ। এই ধর্ম নিরপেক্ষ কথাটি শুনলেও তাদের পিত্তিতে জ্বালা ধরে! এ বিষয়টিকেও তাদের হিন্দুয়ানি মনে হয়! এমন তাদের পাকিস্তানি আমলেও মনে হতো! এখনো মনে হয়! প্রস্তাবিত শিক্ষানীতিকে এখন আবার হিন্দুয়ানি নাম দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশ বিরোধী অপশক্তি সব আবার মাঠে নেমেছে! অথচ অবাক দেখুন সেই শক্তিসব নীরব! পাকিস্তানি ধারার শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে যারা একদিন আন্দোলন করেছে। এদের কেউ কেউ হয়তো এখন ক্ষমতার হালুয়া রুটির ভাগবাটোয়ারা নিয়ে ব্যস্ত! অথবা কেউ নপুংসক হয়ে গেছে!
জাতির জনক বংগবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর বাংলাদেশকে আবার মুক্তিযুদ্ধের পথ থেকে সরিয়ে পুরনো পাকিস্তানি ধারায় নিয়ে যাওয়া হয়। জিয়াউর রহমান এসব স্বাধীনতা বিরোধীদের জেল থেকে বের করে আবার মাঠে নামা, রাজনৈতিক পুনর্বাসনের সুযোগ করে দেয়। গোল্লায় যায় মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নের শিক্ষা ব্যবস্থা। স্বৈরশাসক এরশাদ ক্ষমতায় এসে গঠন করেন মজিদ খানের নেতৃত্বে শিক্ষা নীতি প্রনয়নের কাজ! সেটির পাকিস্তানি চিন্তা টের পেয়ে রুখে দাঁড়ায় ছাত্র জনতা। সেই আন্দোলনে এরশাদ ক্ষমতা থেকে বিতাড়িতও হয়।
কিন্তু খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে চালু রাখেন তার সব প্রিয় পাকিস্তানি ধারা! মাঝে উনিশশো ছিয়াশি সালে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় এলেও শিক্ষা নীতি বদলের কাজটি এগোয়নি।
এবার নতুন একটি শিক্ষা নীতির কাজ শুরু হলেও এর বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে জামায়াত শিবির সহ সেই সব মোল্লা শক্তি যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ছিল। এদের পিছনের ছাতাটির নাম বিএনপি-জাতীয় পার্টি! এই স্বাধীনতা বিরোধী মোল্লা অপশক্তিটি কখনো বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতও গায় না! কারন তাদের কাছে এটিও একজন হিন্দু কবির লেখা গান! মুখে এরা এখনো এটি বদলের সাহস করতে পারেনা। এরা কখনো পহেলা বৈশাখ উদযাপন করেনা, একুশের প্রভাত ফেরীতে যায়না। বাঙালি মায়ের জন্ম নিলেও বাংলায় কথা বললেও চিন্তায় মননে এরা পাকিস্তানি। এরা তাদের ছাত্র ছাত্রীদের উর্দুতে পড়ায়!
অথচ মুক্তিযুদ্ধের এ দেশ আমাদের দীর্ঘ ঐতিহ্যের হিন্দু-মুসলিম-ব
লিখেছেনঃ ফজলুল বারী, অস্ট্রেলিয়ান প্রবাসী সাংবাদিক।
0 comments:
Post a Comment