দৈনিক হবিগঞ্জের বাণী নিয়ে কিছু কথা।

শীঘ্রই আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে হবিগঞ্জের জনপ্রিয় সংবাদকর্মী প্রিয় জিয়া উদ্দিন দুলাল ভাইর সন্তানতূল্য সংবাদপত্র 'দৈনিক হবিগঞ্জের বাণী'। পত্রিকার টাইটেল বা থিম রাখা হয়েছে ' সত্য প্রকাশে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ '। 

হবিগঞ্জে অনেক নামীদামী(!) স্থানীয় সংবাদপত্র রয়েছে। যাদের প্রকাশিত সংবাদগুলো বস্তুনিষ্ঠ নয়। বিজ্ঞাপন আর জাতীয় সংবাদে ভরপুর থাকে হবিগঞ্জের স্থানীয় সংবাদপত্র গুলো। কয়েকদিন আগে হবিগঞ্জের প্রথম শ্রেণির এক সংবাদপত্র একটি সংবাদ পরিবেশন করেছে যা দেখে সাংবাদিকতার নীতি নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্নের দেখা দিয়েছে! সংবাদটি ছিল এরকম যে, 'জুতা চুরির জন্য এক যুবকের এক বছরের কারাদণ্ড! ' আমি একজন ক্ষুদ্র ও নগণ্য পাঠক। পত্রিকাটির শিরোনাম দেখে অবাক হই নি! অবাক হয়েছি সংবাদটি প্রথম পৃষ্ঠার প্রথম চারকলামে প্রকাশ করা দেখে। তাও রিপোর্টারের নামসহ!
আসলে আমরা সাংবাদিকতার নিয়ম  নীতি কখনো তোয়াক্কা করি না স্থানীয় পত্রিকার ক্ষেত্রে। গোঁজামিল দিয়ে সংবাদ প্রকাশে ব্যস্ত থাকি।
এখন আসি মূল প্রসঙ্গে!
যার হাত ধরে 'দৈনিক হবিগঞ্জের বাণী' আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে তিনি হচ্ছেন জেলার প্রথম সারির একজন সংবাদকর্মী! জিয়া ভাইকে আমি কখনো সাংবাদিক বলি না। তিনি একজন সংবাদকর্মী। জিয়া ভাইকে দেখেছি শহর থেকে গ্রামে নিয়ে স্পট নিউজ করতে, জিয়া ভাইকে দেখেছি সংবাদ সংগ্রহে আজমিরীগঞ্জ ছুটে যেতে। তাই তিনি আমার কাছে সংবাদকর্মী। দীর্ঘ দিন সাংবাদিকতা করার পর তিনি নিজে একটা পত্রিকা বের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জিয়া ভাইর এই সিদ্ধান্তকে আমি শতভাগ সাধুবাদ জানাই। কারণ এখন থেকে জেলাবাসী বস্তুনিষ্ঠ সংবাদের ঘ্রাণ পাবে। কারণ জিয়া ভাই নিজে একজন পরিশ্রমী সংবাদকর্মী। আর যে লোক নিজে পরিশ্রমী সে তো চাইবে তার নিজের পত্রিকাটি কিভাবে আরো প্রাঞ্জলতা করা যায়। আপনার সন্তান 'দৈনিক হবিগঞ্জের বাণী' যেন অল্পদিনেই পাঠকপ্রিয়তা পায় সেই কামনাই করি।
হবিগঞ্জের বাণী নিয়ে আমার ব্যক্তিগত কিছু অভিমত।

১. প্রতিটি উপজেলায় একজন প্রতিনিধি নিয়োগ করা।
২. প্রতি সপ্তাহে পাঠকের কলাম থাকা।
৩. হবিগঞ্জের ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা।
৪. দেশের চলমান ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে যারা লিখতে চান তাদের সুযোগ করে দেওয়া।
৫. প্রতিদিন সম্পাদকীয় প্রকাশ করা।
লেখকঃ আজজার উদ্দিন শিমুল।
১৭/০৭/১৬ইং।