Tuesday, June 14, 2016

আমার মেয়েদের নিরাপত্তা কোথায়?

বানিয়াচং এর অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান 'সুফিয়া মতিন টেকনিক্যাল স্কুল এণ্ড কলেজে'র ভারপ্রাপ্ত সুপার বশির আহমেদ দ্বারা যৌন হয়রানির শিকার আমার বোনটির নিরাপত্তা নিয়ে আমি গতকাল থেকে শঙ্কিত।
আমি প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে নিরাপদ ও পবিত্র জায়গা মনে করি। এই নিরাপদ ও পবিত্র জায়গায় যদি এরকম যৌন হয়রানির শিকার হতে হয় তাহলে কি আশা নিয়ে আমাদের মেয়েদের আপনার কাছে তুলে দিব? পড়ানোর সময় যদি কাম দৃষ্টিতে আমার মেয়েদের দেখেন তাহলে কি শিক্ষা দিবেন?
যে মেয়েটি লম্পট শিক্ষক দ্বারা যৌন নিপীড়নের শিকার সে এখন মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। কারণ সে সামাজিক নিগৃহীতার শিকার। তার সহপাঠিরা সবাই বিষয়টি জেনে গেছে!
আসুন আপনাদের একটা সমীকরণ দেখাই-
ধরুণ, পাঁচ বছর পর মেয়েটিকে বিয়ের জন্য বরপক্ষের লোকজন দেখতে আসছে। পাত্রীকে পছন্দও হলো।
আমাদের চারপাশে কিছু মানুষ রয়েছেন যারা হিংসা পরায়ণ। বরপক্ষের লোকজন যদি এলাকার কাউকে জিজ্ঞেস করে মেয়েটির স্বভাব চরিত্র কেমন? তাহলে অনেকেই তার সাথে পাঁচ বছর আগে ঘটে যাওয়া যৌন নিপীড়নের বিষয়টি হয়তো বলে দিতে পারে!
তখন স্বাভাবিক ভাবেই বরপক্ষ সন্দেহের তীর ছুড়ে দিবে।
তখন কি পরিণতি হবে?
ভাবুন! ভাবুন!! ভাবুন!!!
আমার এই মেয়েটির নিরাপত্তা কোথায়? অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি শুরুর দিকে কেনো কোনো ব্যবস্থা নিলো না।
উপজেলা প্রশাসনের প্রতি বিনীত আহ্বান, আপনারা সঠিক পদক্ষেপ নিন এবং দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা করুন। শুধু বহিষ্কারই যথেষ্ট নয়; তাকে যৌন হয়রানি মামলার আওতায় নিয়ে কারাগারে প্রেরণ করতে হবে। যাতে অন্যকোনো শিক্ষক নামধারী লম্পট আর কোনো ছাত্রীর সভ্রমহানী না কারতে পারে।
প্রিয় স্বদেশ অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত পদক্ষেপ গুলোর মধ্যে 'নারীর প্রতি সহিংসতা' বন্ধের জোরালে আবেদন রয়েছে।
একদিকে আমরা মুখে মুখে বলব যৌন হয়রানি করব না, আর সুযোগ পেলেই অফিস কক্ষে নিয়ে ছাত্রীকে  শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করে ফেলব!
এটা কেমন নীতি নৈতিকতা। আসলে আমাদের নৈতিকতার অনেক ঘাটতি রয়েছে। এ ঘাটতি পূরণের জন্য নৈতিকতার হাসপাতালে ট্রিটমেন্ট নেওয়া সময়ের প্রয়োজন।
লজ্জিত বোন!
নারীদের ভোগের বস্তু নয়, মানুষ ভাবুন।
#Stop_Sexual_Harassment

লেখকঃ অভ্র আজহার,
ব্লগার এণ্ড অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট।

0 comments:

Post a Comment