Tuesday, June 14, 2016

শিক্ষক যখন যৌন নিপীড়ক!

মায়ের পরে যাদের আমি সবচেয়ে বেশি সম্মান করি তারা হচ্ছেন আমার প্রিয় শিক্ষক। তাঁরা শুধু শিক্ষক নন, তারা আমার কাছে নিজের বাবা-মা। 
কিন্তু তখনই মনে আঘাত পাই যখন শুনি কোনো শিক্ষক কোনো ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করেছেন।
যৌন নির্যাতন! শব্দটির সাথে মিশে আছে এক ধরণের ঘৃণা, অভিশাপ। আমার প্রিয় বানিয়াচংয়ে একজন শিক্ষক তারই মেয়ের বয়সী ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করেছেন। বিষয়টি শোনার পর থেকেই ঐ শিক্ষকের প্রতি চরম ঘৃণা জন্ম নিয়েছে। একজন শিক্ষক হয়ে এমন গর্হিত কাজ। ছিঃ আমি লজ্জিত।
যে শিক্ষকের নামে যৌন হয়রানির অভিযোগ এসেছে তিনি হচ্ছেন বানিয়াচং এর অন্যতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সুফিয়া মতিন টেকনিক্যাল স্কুল এণ্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত সুপার বশির আহমেদ। জনৈকা ছাত্রীকে অফিস কক্ষে নিয়ে গিয়ে যৌন হয়রানির চেষ্টা করেছেন; এমনকি মেয়েটিকে কুপ্রস্তাবও দিয়েছেন। যৌন হয়রানির শিকার ঐ ছাত্রী বাধ্য হয়ে অন্য একজন শিক্ষিকার মাধ্যমে স্কুল পরিচালনা কমিটির কাছে তার সাথে ঘটে যাওয়া যৌন হয়রানি অভিযোগ দেন। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জেলা প্রশাসকের বরাবর আইনুনাগ ব্যবস্থার সুপারিশ করা হয়েছে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এজন্য উপজেলা প্রশাসনকে আমি সাধুবাদ জানাই।
শান্তিপূর্ন বানিয়াচংয়ে এক ধরণের ভাইরাস সৃষ্টি করলেন এই শিক্ষক নামের ভক্ষক!
আসুন তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই। আজ ঐ মেয়ে! কাল আমার আপনার বোন যে ঐ রকম লম্পট শিক্ষক দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হবে না তার  নিশ্চয়তা কিসের। অনতিবিলম্বে তাকে স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হোক এবং গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হোক।
আজ যদি আপনার মা/বোন এভাবে যৌন নির্যাতনের শিকার হতেন তাহলে আপনি কি বসে থাকতেন?
প্রশ্ন রেখে গেলাম!
প্রতিবাদী হোন। প্রতিরোধ গড়ে তোলেন শিক্ষক নামধারী লম্পট বশির আহমেদ'র বিরুদ্ধে।
#Stop_Sexual_Harassment

লেখকঃ ব্লগার এণ্ড অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট।

0 comments:

Post a Comment